ভারতে বড়লাট রিপনের শাসনকালের আগে এদেশে কোন ভারতীয় বিচারক কোন ইংরেজ তথা স্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার ছিল না। এতে ভারতীয়দের মনে তীব্র ক্ষোভ ছিল। ইলবার্ট বিলের দ্বারা এই ক্ষোভ প্রশমনের চেষ্টা করা হয়।
(1) ইলবার্ট বিলের মূল কথা: বিচারব্যবস্থায় বর্নবৈষম্য দূর করার উদ্দেশ্যে রিপনের পরামর্শে তাঁর আইনসচিব ইলবার্ট একটি বিল রচনা করেন। এতে ভারতীয় বিচারকরা স্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার পায়। এটি ইলবার্ট বিল নামে পরিচিত।
(2) সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠা: ইলবার্ট বিলের দ্বারা ভারতীয় বিচারকরা স্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার পেলে ভারতীয় ও ইউরোপীয় বিচারকদের সমমর্যাদা প্রতিষ্ঠিত হয়।
(3) শ্বেতাঙ্গদের ক্ষোভ ও অন্দোলন : লর্ড রিপন ইলবার্ট বিলের মাধ্যমে ভারতের কৃষ্ণাঙ্গ বিচারকদের শ্বেতাঙ্গদের বিচার করার অধিকার দিলে শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়রা ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ইলবার্ট বিলের বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গরা তীব্র অন্দোলন শুরু করে। তারা কলকাতা হাইকোর্টে ব্যারিস্টার ব্রানসনের নেতৃতে ‘ডিফেন্স অ্যসোসিয়েশন ‘ প্রতিষ্ঠা করে অন্দোলন চালিয়ে যায় । ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এর শাখা প্রতিষ্ঠিত হয়। অন্দোলন চালানোর উদ্দেশ্য তারা দেড় লাখ টাকার বেশি চাঁদা সংগ্রহ করে।
(4) ভারত সভার আন্দলোন: ইলবার্ট বিলের শ্বেতাঙ্গ ইউরোপীয়রা অন্দোলন শুরু করলে লালমোহন ঘোষ, সুরেন্দ্রনাথ বন্ধ্যোপধ্যায় ও ভারতসভা ইলবার্ট বিলের সমর্থনে তীব্র অন্দোলন গড়ে তোলেন।