ভুমিকা – ভারতের ব্রিটিশ শাসনকে দীর্ঘস্থায়ী করার লক্ষ্যে ব্রিটিশ সরকার সংখ্যালঘু ও সাম্প্রদায়িক শক্তিকে মতদানের নীতি নেয়। এই প্রচেষ্টার পরিণতি ছিল প্রধানমন্ত্রী র্যামসে ম্যাকডোনাল্ড এর সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘোষনা।
সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতির প্রেক্ষাপট: ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘোষনার প্রেক্ষাপটে উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলি হল –
(১) ভারতের জাতীয় আন্দোলনকে দুর্বল করে তোলে,
(২) হিন্দু সম্প্রদায়ের ঐক্যে ফাটল ধরানো,
(৩) দলিতদের পৃথক স্বীকৃতিদানের মাধ্যমে তাদের ব্রিটিশ সরকারের অনুগত শ্রেণীতে পরিনত করা,
(৪) দলিত নেতা বি.আর.আম্বেদকর-এর দাবি মেনে দলিতদের পৃথক নির্বাচনের অধিকার দান করা।
বাঁটোয়ারার মূল বক্তব্য: সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা ঘোষনা করা হয় যে, –
(১) মুসলিম, শিখ, খ্রিস্টান, এংলো-ইন্ডিয়ান প্রভৃতি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পৃথক নির্বাচনের অহিকার দেওয়া হবে,
(২) হিন্দুসমাজকে বর্ণহিন্দু ও অনুন্নত শ্রেণী তে বিভক্ত করে অনুন্নত শ্রেনীর পৃথক নির্বাচন বিধি মেনে চলা হবে।
উপসংহার: সাংবিধানিক দিক দিয়ে ‘সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা’ নীতি ছিল গনতান্ত্রিক অধিকারের স্বীকৃতি। কিন্তু ভারতের জাতীয় নেতাদের কাছে এই নীতি ছিল ব্রিটিশের ‘বিভাজন ও শাসন নীতির প্রতিফলন। এই বৈষম্যমূলক নীতির বিরুদ্ধে মহাত্মা গান্ধী সরব হন ও জারবেদা জেলে অনশন শুরু করেন।
সশস্ত্র বিপ্লবী আন্দোলনে নারীদের ভূমিকা বিশ্লেষণ করো