নমস্কার বন্ধুগণ, তোমাদের স্বাগতম আমাদের estudypoint ওয়েবসাইটে। যেহেতু করোনা সংক্রমণ আবার বেড়ে চলেছে সেই দিকে নজর রেখে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ থেকে বছরের প্রথম অর্থাৎ জানুয়ারি 2022 মাসের মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক (Model Activity Task Class 7 History January 2022 Part 1) তোমাদের বিদ্যালয়ের মাধ্যমে দিয়ে দিয়েছে এবং আজকে আমরা জানুয়ারী মাসের সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্কের সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছি।
Model Activity Task Class 7 History January 2022 Part 1
সপ্তম শ্রেণী মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক
ইতিহাস
পূর্ণমান – ২০
১. শূন্যস্থান পূরণ করো : ১×৩=৩
(ক) ‘ইন্ডিয়া’ নামটি প্রথম ব্যবহার করেছিলেন ____________________ ।
উত্তরঃ ঐতিহাসিক হেরোডোটাস
(খ) তাজমহল বানিয়েছেন সম্রাট ___________________ ।
উত্তরঃ সম্রাট শাহজাহান
(গ) বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি ___________________ মাত্র।
উত্তরঃ একটি জেলা
২. ঠিক বা ভুল নির্ণয় করো : ১×৩=৩
(ক) ‘হিন্দুস্থান’ শব্দ দ্বারা সমগ্র ভারতকে বোঝানো হতো।
উত্তরঃ ঠিক
(খ) পোর্তুগিজদের হাত ধরে ভারতে আলু খাওয়ার চল শুরু হয়।
উত্তরঃ ঠিক
(গ) সাসানীয়দের শাসন ছিল ইরানে।
উত্তরঃ ঠিক
৩. অতি সংক্ষেপে উত্তর দাও (একটি-দুটি বাক্য) : ২x২ = ৪
(ক) ইতিহাসের সময়কে কয়টি যুগে ভাগ করা হয়? কী কী?
উত্তরঃ ইতিহাসের সময়কে সাধারণ ভাবে তিনটি যুগে ভাগ করা হয়। প্রাচীন যুগ, মধ্য যুগ এবং আধুনিক যুগ
(খ) কোন সময়কালকে আদি-মধ্যযুগ বলা হয়?
উত্তরঃ ইতিহাসের যুগ রাতারাতি বদলে যাওয়া সম্ভব না। তেমনই ভারতের ইতিহাসে একটা বড়ো সময় ছিলো যখন প্রাচীন যুগ ধীরে ধীরে শেষ হয়ে আসছিল এবং মধ্যযুগ ও শুরু হয়নি। এই সময়কে ঐতিহাসিকরা আদি- মধ্যযুগ বলেছেন।
৪. নিজের ভাষায় লেখো (তিন-চারটি বাক্য) : ৫×২=১০
(ক) ইতিহাসের উপাদান কী? উপাদানের বিভিন্ন ভাগগুলির উল্লেখ করো।
উত্তরঃ ইতিহাসের উপাদান গুলি নানারকমের। পুরোনো মূর্তি, পুরোনো মুদ্রা বা পুরোনো বই এগুলি বিভিন্ন উপাদান। এই কারনে ইতিহাসের উপাদানগুলিকেও নানা ভাগে ভাগ করা হয়েছে। যেমন লেখ, মুদ্রা, স্থাপত্য-ভাস্কর্য ও লিখিত উপাদান। পাথর বা ধাতুর পাতে লেখা থেকে পুরনো দিনের অনেক কথা জানা যায়। সেগুলি কে বলা হয় লেখ। তামার পাতের লেখা হলে তাকে বলা হয় তাম্রলেখ। পাথরের উপর লেখা হলে তাকে বলা হয় শিলালেখ।কাগজে লেখা গুলিকে বলা হয় লিখিত উপাদান।
(খ) মধ্যযুগের ভারত কেমন ছিলো ?
উত্তরঃ টুকরো টুকরো উপাদান জুড়ে ঐতিহাসিকরা সে সময়ের ইতিহাস লিখেছেন। তাতে দেখা যায়, তখন জীবনের নানান দিকে অনেক কিছুরই উন্নতি করেছিল ভারতের মানুষ। যেমন – এক দিকে ছিল নানান নতুন যন্ত্র ও কৌশলের ব্যবহার। কুয়ো থেকে জল তোলা, তাঁত বোনা বা যুদ্ধের অস্ত্র- বিজ্ঞানের ছোঁয়ায় বদলে গিয়েছিল অনেক কিছুই। অনেক নতুন খাবার ও পানীয়ের কথা এই সময় ব্যবহারের কথা জানা যায়। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো রান্নায় আলুর ব্যবহার। পোর্তুগিজদের হাত ধরে এদেশে আলু খাওয়ার চল শুরু হয়।
দেশ শাসনে আর রাজনীতিতেও নতুন অনেক দিক দেখা গিয়েছিল এই সময়। শুধু রাজ্য বিস্তারের দিকে নয়, জনগণের ভালো মন্দের কথাও শাসকরা ভেবেছিলেন। অর্থনীতিতে একদিকে ছিল কৃষি, অন্যদিকে ছিল ব্যাবসা-বাণিজ্য। তৈরি হয়েছিল নতুন নতুন শহর। বন কেটে চাষবাস করার অনেক উদাহরণ পাওয়া গিয়েছিল। কিন্তু শিল্প হোক বা সাহিত্য- সবেতেই সাধারণ গরীব মানুষের কথা খুব বেশি ছিল না। সেসকলের বেশির ভাগেই ছিল শাসকের গুণগানে ভরা।