Class 9 Bengali Model Activity Task Part 2 February 2022 – নবম শ্রেণীর জানুয়ারি মাসের প্রথম মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক শেষ হতে না হতেই মধ্য শিক্ষা পর্ষদ ফেব্রুয়ারী মাসের দ্বিতীয় মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক প্রকাশ করে দিয়েছে। এবং ঠিক আগের মতো আমরা নবম শ্রেণীর বাংলা মডেল অ্যাক্টিভিটি টাস্ক ফেব্রুয়ারি (Model Activity Task Class 9 History Part 2 February 2022) উত্তর আমাদের estudypoint ওয়েবসাইট দিয়ে দিয়েছি।
Model Activity Task Class 9 Bengali
Bengali (বাংলা)
পূর্ণমান: ২০
১. ঠিক উত্তরটি বেছে নিয়ে লেখাে : ১x৩=৩
১.১ ধীবর বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে জেলেটির বাড়ি –
(ক) উজ্জয়িনীতে
(খ) শচীতীর্থে
(গ) শক্রাবতারে
(ঘ) হস্তিনাপুরে
উত্তরঃ ধীবর বৃত্তান্ত’ নাট্যাংশে জেলেটির বাড়ি – (গ) শক্রাবতারে l
১.২ ধীবর যে আংটিটি পেয়েছিল, তাতে খােদাই করা ছিল –
(ক) রাজার ছবি
(খ) রাজ্যের নাম
(গ) রাজার নাম
(ঘ) শকুন্তলার নাম
উত্তরঃ ধীবর যে আংটিটি পেয়েছিল, তাতে খােদাই করা ছিল – (গ) রাজার নাম l
১.৩ ‘এ অবশ্যই গােসাপ-খাওয়া জেলে হবে।’— কথাটি বলেছেন –
(ক) প্রথম রক্ষী
(খ) দ্বিতীয় রক্ষী
(গ) রাজা।
(ঘ) রাজশ্যালক
উত্তরঃ ‘এ অবশ্যই গােসাপ-খাওয়া জেলে হবে।’— কথাটি বলেছেন – (ঘ) রাজশ্যালক
২. কমবেশি ২০টি শব্দে উত্তর লেখাে : ১x৩=৩
২.১ শুনুন মহাশয়, এরকম বলবেন না।’ – কোন্ ধরনের কথা বলতে বক্তা নিষেধ করেছে?
উত্তরঃ রাজর শ্যালক ধীবরের পেশা নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ করলে বক্তা ধীবর রাজার শ্যালককে নিষেধ করেন কোনাে মানুষের জীবিকা নিয়ে কাউকে ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ না করার জন্য।
২.২ ‘সূচক, এই জেলেকে ছেড়ে দাও।’ – জেলেকে ছেড়ে দিতে বলা হলাে কেন?
উত্তরঃ আংটি পাওয়ার ব্যাপারে ধীবরের সমস্ত বৃত্তান্ত রাজার কাছে সত্য প্রমাণিত হয়। ধীবর নির্দোষ হওয়ায় রাজার আদেশে রাজ শ্যালক সূচককে নির্দেশ দেন জেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য।
২.৩ ‘একি যা-তা অনুগ্রহ!’ – ধীবর অনুগৃহীত কেন?
উত্তরঃ আংটি পাওয়ার ব্যাপারে ধীবর নির্দোষ প্রমাণিত হয় এবং রাজা দুষ্মন্তের আদেশে আংটির সমপরিমাণ অর্থ তাকে পুরস্কার দেওয়া হয়। রাজার এই মহান ব্যবহারে ধীবর অনুগৃহীত হয়ে ওঠে।
৩.প্রসঙ্গ নির্দেশসহ কম-বেশি ৬০টি শব্দে উত্তর লেখাে : ৩x৩=৯
৩.১ ‘সূচক, একে পূর্বাপর সব বলতে দাও। – ধীবর বর্ণিত কাহিনিটি বিবৃত করাে।
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটি মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।
ধীবর বর্ণিত কাহিনি : ধীবরের কাছে রাজার নামাঙ্কিত আংটি পাওয়া গেলে তাকে চোর সাব্যস্ত করা হয়। আংটিটি যে-ভাবে তার কাছে এলাে, তার পূর্বাপর সমস্ত কাহিনি জানাতে ধীবর বলে- সে পেশায় জেলে। তার বাড়ি সক্রাবতার। সে মাছ ধরে সংসার চালায়। একদিন একটা রুই মাছ ধরার পরে সে যখন মাছটি টুকরাে করছিল তখন মাছের পেটের মধ্যে থেকে মনিখচিত এই আংটি সে পায়। পরবর্তীকালে সে এই আংটিটি বিক্রি করার জন্য যখন লােককে দেখাচ্ছিল তখন রক্ষীরা তাকে ধরে আনে। তাই স্বভাবতই সে চোর নয়, সে নির্দোষ।
৩,২ ‘তবে তাই হােক।’ – কোন্ বিষয়ে কারা সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন?
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটি মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।
রাজা দুষ্মন্তের নামাঙ্কিত আংটি এক জেলের কাছে পাওয়া গেলে তাকে চোর সন্দেহে বন্দী করা হয়। জেলে তার পরিচয় দেয় এবং বারবার বলতে থাকে সে নির্দোষ। সে জানায়, একটি রুই মাছকে খন্ড করার সময় মাছের পেটের থেকে এই আংটি সে পেয়েছে। ধীবরের এই কথায় সত্যতা থাকলেও রাজরক্ষী এবং রাজ শ্যালক ধীবরের এই কথায় বিশ্বাস খুঁজে পায় না। তাই চোর সন্দেহে আটক ধীবরের কথা সত্য না মিথ্যা তা রাজর সমীপে অনুসন্ধান করার প্রয়ােজনীয়তা পড়ে। ধীবরকে রাজবাড়ির সম্মুখে আনার বিষয়ে রাজ শ্যালকের সিদ্ধান্তে দুই রক্ষী জানুক এবং সূচক একত্রে সম্মতি প্রকাশ করে।
৩,৩ ‘…সেই আংটিটা রাজার (খুব) প্রিয় ছিল। – এই উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে রাজশ্যালক কী বলেছিলেন ?
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটি মহাকবি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত নামক নাট্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।
উক্তির পরিপ্রেক্ষিতে রাজ-শ্যালকের বক্তব্য : রাজার আংটি চুরির অপরাধে আটক জেলেকে শাস্তি দেওয়ার বদলে রাজার হুকুমে আংটির সমমূল্য অর্থ পুরস্কৃত করা হয়। এতে রক্ষী জানুক হতবাক হয়ে বােঝার চেষ্টা করে, হয়তাে আংটিটি মূল্যবান ছিল বলে এই পুরস্কারের ব্যবস্থা। জানুকের এই ভাবনার প্রত্যুত্তরে রাজ শ্যালক জানায়, শুধুমাত্র দামি রত্ন বসানাে ছিল বলেই আংটিটি রাজার কাছে মূল্যবান ছিল , তা নয়। এই আংটি দেখামাত্র রাজা বিহ্বল হয়ে পড়েছিলেন। রাজা দুষ্মন্তের স্মৃতিপটে ভেসে উঠেছিল তার কোনাে প্রিয়জনের কথা। তাই স্বভাবতই আংটিটি গুণগত কারণে নয় , স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে ছিল রাজার কাছে মূল্যবান।
৪. কম-বেশি ১৫০ শব্দে নীচের প্রশ্নটির উত্তর নিজের ভাষায় লেখাে : ৫
‘শােনাে ধীবর, এখন থেকে তুমি আমার একজন বিশিষ্ট প্রিয় বন্ধু হলে।’ – কীভাবে ধীবর বক্তার বন্ধু হয়ে উঠল, ‘ধীবরবৃত্তান্ত নাট্যাংশ অনুসরণে আলােচনা করাে।
উত্তরঃ উদ্ধৃতাংশটি কালিদাস রচিত ‘ধীবর-বৃত্তান্ত’ নামক নাট্যাংশ থেকে গৃহীত হয়েছে।
ধীবর এবং রাজশ্যালকের বন্ধুত্বের বিবরণ : এক ধীবরের কাছে রাজা দুষ্মন্তের নামাঙ্কিত আংটি পাওয়া গেলে রক্ষীরা তাকে বন্দী করে বিচারের জন্য রাজ শ্যালকের কাছে নিয়ে আসে। এই সূত্রেই প্রথম রাজশ্যালক এবং ধীবরের আলাপ হয়। ধীবর আংটি পাওয়ার সমস্ত বৃত্তান্ত সবিস্তারে জানালেও প্রাথমিকভাবে রাজ শ্যালক তাকে চোর বলেই মনে করে। ধীবরের গা থেকে মাংসের গন্ধ আসায় রাজশ্যালক তাকে ঘৃনা করে এবং তার জীবিকা নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করে।
বন্ধুত্বের কারণ : রাজার সমীপে ধীবরের কথার সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে ধীবর প্রসঙ্গে রাজশ্যালকের ধারণা পাল্টে যায়। বিভিন্ন কারণ এবং অনুষঙ্গ কে সামনে রেখে ঘৃণা বন্ধুত্বে রূপান্তরিত হয়।
প্রথমত, রাজশ্যালক ধীবরের সাধুতার পরিচয়ে মুগ্ধ হয়। তিনি বুঝতে পারেন ধীবর যা বলেছে সব সত্য। সে চোর নয়। তাই তার প্রতি বিরূপ আচরণ করা ভুল হয়েছে বুঝতে পেরে শ্যালক বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দেয়।
দ্বিতীয়ত, আংটির সমান মূল্যের অর্থ রাজা ধীবরকে পুরস্কৃত করল রাজশ্যালকের ভাব জগতে বিস্ফোরণ ঘটে। রাজশ্যালক ভাবতে থাকে, যে মানুষ স্বয়ং রাজার দ্বারা পুরস্কৃত হয় সে ঘৃণার যােগ্য নয়। তাই শ্যালক ধীবরের প্রতি বন্ধুত্বপূর্ণ মনােভাব প্রকাশ করে।
তৃতীয়ত, ধীবরের জন্যই রাজার প্রিয়জনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে পেরে শ্যালক রাজার উপকার করার মধ্য দিয়ে রাজার প্রতি আনুগত্য প্রতিষ্ঠাতার সুযােগ পায়। তাই তিনি ধীবরের প্রতি আনন্দিত হয়ে ওঠেন।
এভাবেই ধীবরের কর্মগুণ,সততা এবং নৈতিকতার উজ্জলতা রাজার শ্যালককে মুগ্ধ করে। প্রথম দর্শনে যে সম্পর্ক ঘৃণা দিয়ে তৈরি হয়েছিল তা নিমেষের মধ্যেই বন্ধুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
একক | ব্যবহার |
---|---|
মিটার | দৈর্ঘ্য পরিমাপ |
কিলােগ্রাম | ভর পরিমাপে |
সেকেন্ড | সময় পরিমাপে |
অ্যাম্পিয়ার | তড়িৎপ্রবাহমাত্রা পরিমাপে |
কেলভিন | উষ্ণতা পরিমাপে |
ক্যান্ডেলা | দীপন প্রাবল্যের পরিমাপে |
মােল | পদার্থের পরিমাণ |
Class 9 English Model Activity Task Part 2 February 2022
Note: For any copyright related issue please contact us
Table of Contents